এবিএনএ: একদফা দাবিতে বিরোধী দলগুলোর পঞ্চম দফায় ডাকা ৪৮ ঘণ্টার অবরোধের প্রথম দিনে বুধবার বিক্ষোভ সমাবেশ করেছে নুরুল হক নুরের নেতৃত্বাধীন গণঅধিকার পরিষদ। এদিন বেলা সাড়ে ১১টার দিকে পুরানা পল্টন আল রাজী কমপ্লেক্সের সামনে থেকে মিছিল শুরু করে পল্টন মোড়, কাকরাইল মোড় হয়ে নয়াপল্টনস্থ বিএনপি অফিসের সামনের সড়ক দিয়ে বিজয়নগর পানির ট্যাংকির মোড়ে এক সংক্ষিপ্ত সমাবেশের মাধ্যমে শেষ হয়।
মিছিল শেষে সংক্ষিপ্ত সমাবেশে গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুলহক নুর বলেন, আমরা হরতাল-অবরোধ শান্তিপূর্ণ কর্মসূচির মাধ্যমে দাবি আদায়ের চেষ্টা করেছিলাম। কিন্তু সরকার আমাদের কথা শুনছে না। আমাদের উন্নয়ন সহযোগী দেশি-বিদেশি বন্ধুরাষ্ট্র, সংস্থার কথায়ও কর্ণপাত করছে না। তারা দমন-পীড়ন, হামলা-মামলা, গণগ্রেফতার করে আমাদের শান্তিপূর্ণ আন্দোলনকে সহিংসতার দিকে ঠেলে দিচ্ছে।
তিনি আরও বলেন, সরকারকে বলতে চাই— কোনো প্রকার রাজনৈতিক সমঝোতা ছাড়া তফশিল ঘোষণা করে দেশকে সহিংসতার দিকে ঠেলে দেবেন না। নির্বাচন কমিশনকে বলতে চাই— আপনারা অবৈধ তফসিল ঘোষণা করে দেশ ও জাতিকে গৃহযুদ্ধের দিকে ঠেলে দেবেন না। আপনারা পদত্যাগ করে জনগণের আন্দোলনে শামিল হন, জনগণ আপনাদের মনে রাখবে। আপনারা ইতিহাসে স্মরণীয় হয়ে থাকবেন।
সাধারণ সম্পাদক মুহাম্মদ রাশেদ খান বলেন, সরকার কোনো ধরনের সমঝোতা, সংলাপের উদ্যোগ গ্রহণ না করে তফশিল ঘোষণা করতে যাচ্ছে, যা সংঘাত-সহিংসতা বাড়াবে। অন্তত মহামান্য রাষ্ট্রপতি সব দলকে নিয়ে সংলাপের আয়োজন করতে পারতেন, কিন্তু সেটিও হলো না। নির্বাচন কমিশন তাড়াহুড়ো করে যে তফশিল ঘোষণা করছে, এই তফশিল গণঅধিকার পরিষদ প্রত্যাখ্যান করছে। অনতিবিলম্বে সরকারকে পদত্যাগ করতে হবে এবং নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন দিতে হবে।
সমাবেশ সঞ্চালনা করেন উচ্চতর পরিষদের সদস্য আব্দুজ জাহের। আরও উপস্থিত ছিলেন গণঅধিকার পরিষদের উচ্চতর পরিষদের সদস্য আবু হানিফ, শাকিল উজ্জামান, শহিদুল ইসলাম ফাহিম, ফাতেমা তাসনিম, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হাসান আল মামুন, রবিউল হাসান, জিলু খান, আনিসুর রহমান মুন্না, কুমিল্লা বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক মুরাদ হোসেন, সহ-নারীবিষয়ক সম্পাদক মীর দিলরুবা সুলতানা, মহানগর উত্তরের সভাপতি মিজানুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রহিম, দক্ষিণের সভাপতি নাজিম উদ্দিন, সাধারণ সম্পাদক নুরুল করিম শাকিল, যুব পরিষদের সভাপতি মনজুর মোর্শেদ মামু, সাংগঠনিক সম্পাদক মুনজাজুল ইসলাম, ছাত্র অধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক আরিফুল ইসলাম আদীব, পেশাজীবী অধিকার পরিষদের সভাপতি ডাঃ জাফর মাহমুদ, শ্রমিক অধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক সোহেল রানা সম্পদসহ নেতাকর্মীরা।